‘তুমি যে আমার কবিতা’

শাহেদ পেশায় সাংবাদিক। কবিতা শাহেদের পূর্ব পরিচিত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুজনের পরিচয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধুদের এক অনুষ্ঠানে শাহেদ ও কবিতা একসঙ্গে গান করে। তারপর দুজনের মধ্যে সখ্যতা গড়ে ওঠে, বন্ধুত্ব হয়, ভালোলাগা কাজ করে শাহেদের। এরইমধ্যে প্রবাসী এক ছেলের সঙ্গে কবিতার বিয়ে ঠিক হয়। খবরটা জানতে পেরে শাহেদ কষ্ট পায়। শাহেদের গানের গলা বেশ ভালো। কবিতার বাবা সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। মাঝে-মধ্যে কবিতার বাড়িতেও গান-বাজনার আসর বসে। কবিতা তার বাড়িতে গান গাওয়ার জন্য শাহেদকে একদিন আমন্ত্রণ জানায়। শাহেদ ভরা মজলিসে গান ধরে। কবিতার বাবা মুগ্ধ হয় শাহেদের গান শুনে। মুগ্ধ হয় উপস্থিত অতিথিরাও। গান শুনে কষ্ট হয় কবিতার। আড়ালে দাঁড়িয়ে চোখের জল ফেলে সে। কিন্তু ভালোবাসা প্রকাশ করে না। বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি-তে কবিতাকে এখন দেখা যায় না। মনে মনে কবিতাকে খোঁজে শাহেদ। খোঁজ না পেয়ে ভেবে নেয়- বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ি থাকছে সে। কয়েক বছর কেউ কারো খবর পায় না। একদিন হঠাৎ কবিতার সঙ্গে এক ফুলের দোকানে দেখা হয় শাহেদের। এরপর ‘তুমি যে আমার কবিতা’ নাটকটির গল্প নতুন দিকে মোড় নেয়। শহীদুল হক স্বপনের রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন সজিব আহমেদ। কবিতা চরিত্রে অভিনয় করেছেন শারমীন জোহরা শশী। আর শাহেদ চরিত্রে দেখা যাবে রওনক হাসানকে। স¤প্রতি নাটকটির দৃশ্যধারণের কাজ শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে নাটকটি  প্রচারিত হবে।

No comments

Powered by Blogger.